Uvochor Manush
উভচর মানুষ আলেক্সান্দর বেলায়েভ অনুবাদ: ননী ভৌমিক বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির লেখক আলেক্সান্দর বেলায়েতের কল্পনার সৃষ্টি তরুণ ইকথিয়ান্ডর, ‘উভচর মানুষ’। ‘দরিয়ার দানো’ কখনো জাল টেনে নিয়ে যায় সমুদ্রে, ধরা মাছ ছেড়ে দেয়, কখনো আবার উদ্ধার করে ডুবন্তদের। সে ছোটে ডলফিনের পিঠে চেপে, শঙ্খধ্বনি করে জানায় নিজের আগমন। ইকথিয়ান্ডরের অভিযান, তাকে ধরার জন্য লোভী মুক্তা-সন্ধানীর তৎপরতা, ইকথিয়ান্ডর যাকে বাঁচায় সেই সুন্দরী তরুণীর প্রতি তার প্রেম— এসবেরই বিবরণ দিয়েছেন আলেক্সান্দর বেলায়েভ তাঁর বইয়ে। আর উপন্যাসের ঘটনাবিন্যাসের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ঘাটিত হয়ে চলেছে ইকথিয়ান্ডরের জলতলে বাস করার অসাধারণ ক্ষমতার রহস্য। ছেলেবেলা থেকেই আলেক্সান্দর বেলায়েভের ঝোঁক স্বপ্ন দেখা। যেমন, ওঁর ইচ্ছে হত মানুষ পাখির মতো উড়ুক। চেষ্টাও করে দেখলেন। ছাদ থেকে লাফ দিতে গিয়ে তার পরিণতি হল নিদারুণ— মেরুদণ্ড ভাঙল। বত্রিশ বছর বয়স পূর্ণ হতে বেলায়েভের দেখা দিল অস্থির ক্ষয় রোগ। জীবন-ভোর এই কাল-ব্যাধি তাঁকে ছাড়েনি। আলেক্সান্দর বেলায়েভের (১৮৮৪-১৯৪২) জীবন-পরিস্থিতি ছিল কঠিন। তিনি পড়াশুনা করেন আইন বিভাগে ও সঙ্গীত-ভবনে, কিন্তু শিক্ষা সমাপ্তির জন্য ছাত্র বেলায়েভকে অর্কেস্ট্রায় বাজনা বাজাতে হত, রঙ্গমঞ্চেও দৃশ্যপট আঁকতে হত, সাংবাদিকতা করতে হত। ১৯২৫ সালে তিনি চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করেন সাহিত্যে। ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পোপন্যাস ‘প্রফেসর ডোয়েলের মস্তক’, সঙ্গে সঙ্গেই জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। জ্ঞানবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার সমস্যা নিয়ে অর্ধশতাধিক বই লিখেছেন তিনি। তাঁর বিখ্যাত রচনাগুলি— “উভচর মানুষ’, ‘প্রফেসর ডোয়েলের মস্তক’, ‘শূন্যে ঝাঁপ’, ‘বাতাসের কারবারী’ ও ‘সুখের সন্ধানী’— পৃথিবীর বহু ভাষায় অনুদিত।
Cart
₹0.00
Your cart is empty!
Looks like you haven't made your menu yet.