Ekka Dokka Khela
কর্মক্ষেত্র থেকে অবসর নেওয়ার সঙ্গে কি একাকীত্বের কোনও সম্পর্ক আছে? শিল্পসাহিত্য সৃষ্টির জন্য শিল্পীর যে একাকীত্ব দরকার, প্রাত্যহিক জীবনে সেই একাকীত্বেই কেন দমবন্ধ হয়ে আসে? জীবনযাপনের এত বিপুল আয়োজন থাকা সত্ত্বেও কেন মানুষের সঙ্গ, আরও পরিষ্কার করে বললে বলতে হয় ‘নারীসঙ্গ’ পেতে ইচ্ছে করে? আসলে প্রতিটি মানুষই কোথায় যেন একা, তবুও সঙ্গলোভী। এই কাহিনি প্রৌঢ়ত্বের প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া রণজয়ের, যে নতুন করে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চায়। আসলে স্বপ্ন দেখতেও ভয় হয়, আবার যদি এই পুরুষ সেই পুরুষের মতোই তার ভালোলাগার ডানা মুচড়ে ভেঙে দেয়, আবারও যদি অপমান করে! আসলে নিজের দীর্ঘ বিবাহিত জীবনে তপন কখনওই এরকম অকারণ আকর্ষণে তাকে রোমাঞ্চিত করেনি। এই কাহিনি রণিতার, গোধূলিবেলায় খুঁজে পায় তাঁর সেই বহু প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পুরুষটিকে। জীবনের শুরুতেই কেউ কি জানতে পারে জীবনশেষে কী আছে? কীভাবে যে দেখতে দেখতে জীবনের এতটা পথ পেরিয়ে এল। এখন বেলাশেষে খেলা শেষের খেলা। তবুও কেন যেন কোনও অতৃপ্তি নেই। সেভাবে ভাবলে একা মানেই নিঃসঙ্গ নয়, বরং নির্ভার, কারও জন্য অপেক্ষা নেই, দায় নেই, পুরো পৃথিবীটাই কখন যেন আপন হয়ে যায়। এই কাহিনি আদর্শ নিয়ে জীবনের মহার্ঘ্য সময়টুকু ব্যয় করে ফেলা স্বরাজের। দুটো ভিন্ন মনের ভিন্ন লিঙ্গের যৌবন এক ছাদের তলায় সহিষ্ণুতার পরীক্ষায় সফল হওয়ার সাধনায় স্বামী-স্ত্রী হয়ে সামাজিকতার মুখোশ পরে সুখী দাম্পত্যের অভিনয় করে বসবাস, সহবাস করে। পৃথিবী তার নিজস্ব বলয়ে আবর্তিত হয়ে যায়। একদিকে যখন গভীর রাতের তারারা মিটমিট করে পৃথিবীর দিকে চেয়ে থাকে, অন্যদিকে সূর্যের আলোয় দিনের সূচনা হয়। হাসিকান্নার জীবনের নকশিকাঁথায় সুখদুঃখ নানা রঙে ফুটে ওঠে। কল্পবিশ্বের মন্তাজ ইমপ্রিন্ট থেকে মনিভা সাধুর কলমে প্রেম-অপ্রেম, বিশ্বাস-অবিশ্বাস, আদর্শ-কর্তব্য, দ্বিধা-দ্বন্দ্বের সামাজিক উপন্যাস ‘এক্কা-দোক্কা খেলা’।
Cart
₹0.00
Your cart is empty!
Looks like you haven't made your menu yet.